শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআইয়ের সহযোগিতায় ফেসবুকের উদ্যোগে দেশে এ প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনলাইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রোগ্রামটি উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: বন্যা ও দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তা করবে ফেসবুক
এ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নাগরিকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি, দক্ষতা উন্নয়ন এবং সরকারি কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল অ্যাম্বাসেডরশিপ সম্পৃক্তকরণ ছাড়াও শিক্ষক, পেশাজীবী ও তরুণদের ডিজিটাল পরিচিতি সংরক্ষণ, গঠনমূলক চিন্তা, শ্রদ্ধা ও সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ এবং গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
প্রাথমিকভাবে ফেসবুকের ‘উই থ্যিংক ডিজিটাল’ প্রোগ্রাম এবং ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম ‘মুক্তপাঠ’ যৌথভাবে ৫০ জন অ্যাওয়ার্ড বিজয়ী শিক্ষক, ৩০ জন শিক্ষা মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ পুলিশ এবং নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ২০ জন তরুণ পেশাজীবীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: মিথ্যা ও গুজব সচেতনভাবে মোকাবিলা করতে হবে: প্রতিমন্ত্রী
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী পলক ফেসবুককে বাংলায় ‘উই থ্যিংক ডিজিটাল’ প্ল্যাটফর্ম তৈরির জন্য ধন্যবাদ দেন এবং এর মাধ্যমে নাগরিকদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সচেতনতা তৈরি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে প্রযুক্তি আজ নাগরিকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিচ্ছে এবং এর মাধ্যমে আমাদের জিডিপি বৃদ্ধি পাচ্ছে। শিগগিরই বাংলাদেশ সকল ক্ষেত্রে ডিজিটাল হওয়ার মাধ্যমে আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সবার জন্য সুলভ ব্রডব্যান্ডের ব্যবস্থা করা হচ্ছে: মোস্তাফা জব্বার
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ডিজিটাল পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং জাতীয় শিক্ষা কাঠামোয় তথ্য-প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তির ওপরও জোর দেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মিশে গেছে। একই সাথে নাগরিকদেরও এর সঠিক ও নিরাপদ ব্যবহার জানতে হবে।’
নাগরিকদের অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়ে ফেসবুক সচেতন জানিয়ে প্রতিষ্ঠানটির দক্ষিণ এশিয়া পাবলিক পলিসি ডিরেক্টর আশ্বানি রানা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং এটুআইয়ের সাথে সমন্বিতভাবে কাজ করে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। সমমনা ডিজিটাল ডিসকোর্স তৈরি এবং গঠনমূলক চিন্তার উৎসাহ দেয়ার মাধ্যমে নাগরিকদের ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা আমাদের কাম্য।’
আরও পড়ুন: স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট পেতে রবির সাথে বিইউবিটির সমঝোতা
অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচনায় আলোচকরা বাংলাদেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। একইসাথে তারা বাংলাদেশের ডিজিটাল লিটারেসি বিষয়ে সার্বিক অবস্থান তুলে ধরে নিরাপদ ও তথ্যভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারের উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেন। আলোচনায় নিরাপত্তা, গোপনীয়তা, ডিজিটাল স্থায়িত্ব এবং ডিজিটাল ফুটিপ্রিন্ট সম্পর্কে কথা হয়।
এটুআইয়ের পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মো. আব্দুল মান্নান, বিজিএমইএয়ের সভাপতি রুবানা হক, ফেসবুক বাংলাদেশের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম ম্যানেজার সাবনাজ রশিদ দিয়া।